Super AMOLED,AMOLED,LCD,LED ডিসপ্লের মধ্যে পার্থক্য কি? কোন ডিসপ্লে সবচেয়ে ভালো
বর্তমানে সময়ে যে কয়েকটি ডিসপ্লে সবচেয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে তার মধ্যে -টিএফটি ডিসপ্লে, এলসিডি ডিসপ্লে, গরিলা গ্ল্যাস ডিসপ্লে, আইপিএস ডিসপ্লে , রেটিনা ডিসপ্লে ওএলইডি ডিস্পেলে, অ্যামোলেড ডিসপ্লে এবং সুপার অ্যামোলেড ডিস্পেলে অন্যতম।
ডিসপ্লে প্রত্যেকটা স্মার্টফোনের একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান।একটু খেয়াল করলেই দেখবেন আধুনিক স্মার্টফোনের ডিসপ্লে আর সেই পুরানো দিনের ফোনের ডিস্পেলের মধ্যে কতটা তফাৎ।
এক নজরে সকল ডিস্পেলে বিস্তারিত
- এলসিডি ডিসপ্লেঃক্যাসিও'র হাত ঘড়ি কথা মনে পরে? সে ঘড়িটা যে ঘড়িটাতে ইংরেজিতে সময় দেখাতো।এবং পুরণো দিনের ক্যাসিও ক্যালকুলেট? হ্যা!
এলসিডি বা লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে, সর্বপ্রথম বাজারে আসে ক্যাসিও'র হাত ধরে।এলসিডি ডিসপ্লে মূলত তরল ক্রিস্টালে আলোর পরিবর্তনের বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে তৈরি কার হয়েছে।যা একটি পাতলা সমান্তরাল পর্দার বৈদ্যুতিক প্রদর্শক/স্কিন।
বাংলাদেশের সকল ধর্ষককে চিনে রাখুন
ক্যাসিওর হাত ধরে বাজরে আসার পর থেকেই ব্যাপক জানপ্রিয়তা পেতে শুরু করে এ ডিসপ্লেটি।তারপার ব্যাপক ভাবে এলসিডি ডিসপ্লের ব্যাবহার শুরু হয় মোবাইল ফোনে।কিন্তু বর্তমানে এ ডিসপ্লের ব্যবহার স্মার্টফোনে একেবারে নেই বললেয়ই চলে।
- টিএফটি ডিসপ্লেঃ পূর্ণনাম থিন ফিল্ম ট্রানজিস্টর লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে। এলসিটি থেকে এ ডিসপ্লে খানিকটা উন্নত মানের হওয়ায়, টিএফটি ডিসপ্লের ব্যাপক ব্যবহার দেখা য়ায় মোবাইল ফোনে।কি স্মার্টফোন কি ফিচার ফোন সব ধরনে ফোনেই টিএফটি ডিসপ্লের ব্যবাহার দেখা যায়।
কারণ এ ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয় থিন ফিল্ম ট্রানজিস্টর,যার জন্য এলসিডি ডিসপ্লে থেকে এ ডিসপ্লে ছবি অনেক নিখুত দেখায়।
স্মার্টফোন ব্যবহারে যে রোগ হতে পারে
টিএফটি ডিসপ্লের উৎপাদন খরচ খুবই কম হওয়া কম ও মাঝারি দামের ফোন গুলোতে এর ব্যবহার খুবই বেশি।
অসুবিধা:বেশি সূর্যের আলোয় ছবি দেখতে অসুবিধা, এবং তুলনামূলক ভাবে বেশি শক্তি ব্যয় করে এ ডিসপ্লে।
- গরিলা গ্ল্যাসঃএটা একটা আধুনকি ডিসপ্লে,বর্তামানে অনেক ফোনেই এর ব্যবাহার দেখা যায়।
অ্যালকালি-অ্যালোমিনো সিলিকেট যৌগির তৈরি একটি ডিসপ্লে যার প্রধাণ বৈশিষ্ট্য মতবুজ ও শক্ত। এ বৈশিষ্ট্যর কারণে আধুনিক স্মার্টফোনের ডিসপ্লেকে দাঁগ,আচড়,ঘষা-মাজার’র হাত থেকে রক্ষা করতে পারে গরিলা গ্ল্যাস ডিসপ্লে।
কেন স্মার্টফোনের ব্যাটারি খোলা যায় না?
- আইপিএস ডিসপ্লেঃ ইন-প্লেন সুইচিং ডিসপ্লে,যার স্ক্রিন প্যানেল প্রযুক্তি টিএফটি প্যানেল থেকে অনেকটা উন্নত হওয়ার কারণে যে কোনো অ্যাঙ্গেল থেকে ছবি বা ভিডিও মোটামুটি পরিষ্কার দেখা যায়।
আইপিএস ডিসপ্লের অন্য একটি সুবিধা হলো এটি খুব সমান্য এনার্জি খরচ করে, তাই এই ডিসপ্লের ব্যবহার স্মার্টফোন কিংবা ফিচার ফোনগুলোতে একটু বেশি দেখা যায়।
- রেটিনা ডিসপ্লেঃ এই ডিসপ্লে অন্য আট দশটা সাধারণ ডিসপ্লে থেকে সম্পর্ণ আলাদা।
রেটিনা ডিসপ্লে সর্বপ্রথম বাজারে আনে টেক জায়ান্ট অ্যাপল।রেটিনা ডিসপ্লে স্মার্টফোন ডিসপ্লেতে একটি ভিন্ন মাত্রা দেয়।
যে কারণে হারাতে পারেন আপনার FACEBOOK ID
আইপিএস এলসিডি এবং ব্যাকলিট এলইডি'র সমন্বয়ে তৈরি করা অ্যাপলের এই রেটিনা ডিসপ্লে অতি উচ্চ রেজ্যুলেশনের, তাই অতি তীক্ষ ছবি ও ভিডিও দেখা যায় সুস্পষ্ট।
- ওএলইডি ডিসপ্লেঃঅরগানিক লাইট এমিটিং ডায়োড,যার প্রধাণ বেশিষ্ট্য হলো এটি অন্যান্ন ডিসপ্লে থেকে অনেটা উজ্জ্বল। বিভিন্ন কোণিক দিকে থেকে ডিসপ্লের দিকে তাকালে যথেষ্ঠ ভালো ছবি বা ভিডিও দেখা যায় এবং এর কালার কম্বিনেশন ১৬ মিলিয়ন।
ওএলইডি ডিসপ্লের আরো কয়েকটা সুবিধা হলো এর পিকচার কোয়ালিটি এলসিডি ডিসপ্লে থেকে অরেকটা ভালো,টাচ রিসপোন্স একিউরেসি অনেক উন্নত এবং এর স্ক্রিন প্যানেল খুব কম শক্তি ব্যায় করে যা ফলে ব্যাটারিও কম খরচ হয়।
- অ্যামোলোড ডিসপ্লেঃ এর ব্যবহার একটু দামি ফোনে সচরাচর বেশি দেখা য়ায়।
অ্যামোলেড এর পূর্ণনাম: অ্যাকটিভ ম্যাট্রিকস আরগানিক লাইট এমিটিং ডায়োগ। এর প্রধাণ বেশিষ্ট্য দিনের অতি উজ্জ্ব সূর্যের আলোতে কিংবা রাতের অন্ধকারেও স্ক্রিন প্যানেল যেথেষ্ট ভালো দেখা যায়।
অন্যান্ন বৈশিষ্ট্য গুলো হলো, এর টাচ রিসপোন্স অতি উচ্চ মানের,স্ক্রিন প্যানেল খুবই কম ব্যাটারি খরচ করে তাই এর ব্যবহার স্মার্টফোন সচরাচর দেখা যায়।তবে এ ডিসপ্লের উৎপাদন খরচ এলসিডি,এইপিএস এলইডি থেকে অনেক বেশি হওয়ার মোটামুটি দামি ফোনগুলো অ্যামোলেড ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়।
- সুপার অ্যামোলেড : নামটা যদিও সুপার তবে এডিসপ্লে সুপার নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি(ততোটা)।
এ্যামোলেড ডিসপ্লেকে একটু ঘষে মেজে নাম দেওয়া হয়েছে সুপার অ্যামোলেড।আর এই ঘষা-মাজার কজটা করেছে অ্যান্ড্রয়েড কিং স্যামসাং।
আসছে বাংলাদেশি ব্যাটেল রয়্যাল গেল
অ্যামোলেড সব বৈশিষ্ট্যই রয়েছে এই সুপার এ্যামোলেডে। পার্থক্যটা শুধু পুরুত্বের দিক থেকে।এটা অন্যান্ন সকল ডিসপ্লে থেকে অনেক হালকা।
সচরাচর সুপার অ্যামোলেডর ব্যবহার দেখা যায় স্যামসাং গ্যালাক্সি ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোতে।