কেন স্মার্টফোনগুলোর ব্যাটারি খোলা যায় না?
অ্যান্ড্রয়েড ওস-এ চালিত স্মার্টফোনগুলোর ব্যাটারি শুরুর দিকে খোলা যেলেও বর্তমান সময়ের ফোনগুলের ব্যাটারি কেন খোলার যায় না?
স্মার্টফোনের ব্যাটারি খুরই সংবেদনশীল একটি উপাদান। পূর্বে প্রায়শই শোনা যেত স্মার্টফোন ব্রাস্ট(brust) হওয়ার কথা কিন্তু ইদানিং কালে কেউ এমন খরব শোনেছেন কি?মূলত ব্রাস্ট হওয়ার প্রতিরোধ কারার জন্যই স্মার্টফোনের ব্যাটি খোলা যায় না। কিন্তু কেন?
পূর্বে সকল মোবাইল ফোনে 'লিথায়াম আয়ন' ব্যাটারি ব্যবাহার করা হতো এবং মোবাইল থেকে খোলা যেত।লিথায়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবাহারেরর এক পর্যায়ে ফুলে যেত যা খুবই বিপদজনক।
ফুলে যাওয়া একটি ব্যাটারির নমুনা |
লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি যে কেউ চাইলেই পরিবর্তন করে নিতে পারতেন এটি অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ কারণ। ব্যাটারি প্রস্তুতকারী প্রতিস্ঠান সঠিক গুনগত মান বজায় রেখে ব্যাটারি তৈরি করেছেন কি না তা বোঝার কোন উপায় ছিল না,এবং সহজেই ব্যাটিরী পরিবর্তেন সুবিধা থাকায় যে কোনো একজন ব্যাবহারকারীর চাইলেই পরিবর্তন করতে পারতেন তার ফোনের ব্যাটারী।কারণ ত্রুটিপূর্ণ লিথিয়াম অায়ন ব্যাটারি বাতাশের সংস্পর্শে আসলে এবং পর্যাপ্ত অক্সিজেন পেলে একটি দাহ্য পদার্থের মত আচরন করে।
আরো পড়ুন যে অ্যাপগুলো আপনার ফোনে থাকা জুররী
অন্যদিকে বর্তমানে ব্যাবহার করা 'লিথিয়াম পলিমার' পূর্বের লিথিয়াম আয়ন থেকে অনেকটাই অদাহ্য। Non-removable হওয়ার করণে যে কোনো সাধারনত ব্যাবহারকারীর পক্ষে পরিবর্তন করা সম্ভব না লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি(যদি ব্যাটারি পরিবর্তেন প্রয়োজন পরে,ফোন কোম্পানি গুলো চায় তাদের ফোন ব্যাবহারকারীরা যাতে কোম্পানির অথোরাইজ সার্ভিস সেন্টার থেকে পরিবর্তন করে ব্যাটরি কারণ এর সাথে প্রতিস্ঠানের রেপুটেশন জরীত)
লিথিয়াম পলিমার ব্যাটরির একটি সুবিধা হলো দীর্ঘদিন ব্যাবহারের পরও লিথিয়াম আয়নের মতো ফুলে যাওয়ার প্রবণতা একদম কম।
এছাড়াও লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি ব্যাবহার করার কারণে সম্ভব হয়েছে ফোনের পুরুত্ব কমিয়ে অানা এবং Fast -Charging এর মতো সুবিধা গুলো ফোনে যুক্ত করা।