রি-ব্রান্ডিং আসলে কি?

সাধারণত প্রযুক্তি বিশ্বে  নতুন কোন প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ণ নতুন,নজরকাড়া কোন টেক অ্যাক্সেসরিস বাজারে আসলে মানুষের মধ্যে ঐ অ্যাক্সেসরিস সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়ার তীব্র আগ্রহ তৈরি হয়। মানুষের এ সহজাত প্রবৃত্তি ব্যাবহার করে বাজারে আলোরন তৈরি করে কিছু টেক প্রতিস্ঠান।তখন তার নাম হয়ে যায় রি-ব্রান্ডিং।

রি ব্রান্ডিং কি?

যদি “একই পণ্য” দেশ কাল পাত্র ভেদে ভিন্ন ভিন্ন নামে বাজারে ছাড়া হয় সেটাই রি-ব্রান্ডিং। আর যদি কোনো ম্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোনের সকল স্পেসিফিকেশন একেবারে একই রেখে ভিন্ন ভিন্ন দেশ/অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন নামে বাজারে ছাড়ে  সেটা হয় রিব্রান্ড ফোন। 

রি-ব্রান্ডিং কেনো করা হয়?

বর্তমান সময়ের এই তুমূল প্রতিযোগিতার বাজারে, বাজার গবেষণা যে কোনো প্রতিষ্ঠানে খুবই গুরুত্ববপূর্ণ। সব প্রতিষ্ঠানই চায় তাদের পণ্য ক্রেতারা বেশি বেশি ক্রয় করুক।এবং পণ্যটি যাতে ক্রেতারাদের কাছে অন্য আট দশ (মানে /গুণে একই) পণ্য থেকে আলাদা মনে হয়। 

তাই প্রতিষ্ঠান গুলো বাজার গবেষণার অংশ হিসেবে ‘একই পণ্য ভিন্ন ভিন্ন মোড়কে কিংবা ভিন্ন ভিন্ন নামে’ দেশ বা অঞ্চল ভেদে ভিন্ন ভিন্ন নামে পরীক্ষামূলক ভাবে বাজারে ছাড়ে।

লো বাজেটের নতুন ৫জি ফোন

অন্য আট দশটা প্রতিষ্ঠানেরর মত ঠিক একই কাজটা করে কয়েকটা  স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, যেখানে তারা একই স্মার্টফোন  বাজারে ছাড়ে ভিন্ন নামে।

একটা উদাহারন দেয়া যাক,স্মার্টফোন  নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমি এই উপমহাদেশে ভালই জনপ্রিয়। প্রযুক্তিবিশ্বেও যে রি-ব্রান্ডিং পদ্বতিটা খাটানো যায় তা তারা শিখিয়েছে।

শাওমি রিডমি কে৩০(Xiaomi Redmi K30) এই 

কোনো স্মার্টফোনের ব্যাটারি খোলা যায় না?

স্মার্টফোনটি শাওমি ভারত ব্যতীত গোটা বিশ্বে বাজারে ছাড়ে Redmi K30 নামে কিন্তু একেবারে একই ফোন (কোনো স্পেসিফিকেশন পরিবর্তণ নাই) ভারতের বাজারে ছাড়ে  পকো এক্স২ (POCO X2) নামে!? যা আসলে একটি  রি-ব্রান্ডিং পলিসি।

রি-ব্রান্ডিং

ভারতে শাওমি রি ব্রান্ডিং কোনো করল?

উত্তরটা খুব সহজ, এর প্রধান কারণ জনপ্রিয়তা।আর সব প্রতিষ্ঠান চায় ক্রেতাদের কাছে তাদের প্রোডাক্ট জনপ্রিয় হউক.......।

শাওমি প্রথম রি-ব্রান্ডিং পলিসিটা ভারতের বাজারে খাটায় “পকোফোন” দিয়ে। শাওমি পোকোফোন এফওয়ান (Pocophone F1) নামে সর্বপ্রথম ভারতের বাজের একটি একটি ফোন ছাড়ে।

তখন  ভারতের বাজের শাওমির পকোফোন বেশ জনপ্রিয় সারা জাগায়, এমনকি ক্রেতারা একই কনফিগারেশনের শাওমির অন্য স্মার্টফোন না কিনে ক্রেতারা শুধু পকোফোনের দিকে বেশি ভীড় জমাতে থাকে।

এই যে তীব্র জনপ্রিয়তা, এটাই শাওমিকে বাধ্য করেছে ভারতের বাজের Redmi K30 কে Poco X2 নামে বাজারে ছাড়তে।

স্মার্টফোন রি-ব্রান্ডিং শুধু কি শাওমিই করে?

উত্তর না হবে না। আপনার যদি বাংলাদেশের  স্মার্টফোন মার্কেট গুলো আসা-যাওয়া থেকে থাকে বা নতুন কি ফোন আসলো বা আসছে তার  একটু খোজখবর নিয়ে থাকেন,  তাহলে দেখবেন “নাজরো” নামের একটি স্মার্টফোন বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায়। 

আরো একটু খোঁজখবর নেন, দেখবেন NAZRO ফোনগুলো রিয়েলমির (Realmi) রি-ব্রান্ডিং ।

 রিয়েলমি শাওমিকে দেখে বাজারে রি-ব্রান্ডিং করা শুরু করেছে, যদি নাজরো জানপ্রিয়তা পায়/পেতে থাকে তাহলে এক  সময় হয়ত  বাংলাদের বাজারে রিয়েলমির সিংহভাগ ফোন রি-ব্রান্ডিং হয়ে বাজারে আসবে নাজরো নামে।




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url