ফোন দ্রুত চার্য করার কার্যকারী উপায়।

কিভাবে স্মার্টফোন  দ্রুত চার্য করা যায়  কথাটা প্রায়ই শোনা যায়। যদিও বর্তমান বাজারে যে সব মিড রেঞ্জ আছে ফোন প্রায় প্রত্যেকটাতে  এখন  বিল্ট-ইন ফাস্ট চার্যিং সুবিধা থাকে। তারপরও মানুষের হাতে হাতে এখনো অনেক স্মার্টফোন রয়েছে যেগুলোতে ফাস্ট চার্যিং সুবিধা নেই।

নিচের  পাঁচটি পদ্বতিতে আপনার ফোন চার্য দিলে খুব কম সময়ে দ্রুত  সময়ে চার্য করাতে পারবেন আপনার ফোন।

              

প্রতিকী ছবি(সংগ্রহীত)

  1. কখন চার্য দিবেনঃ মোবাইল তখনই চার্য দিবেন যখন  এতে ৫০% ও কম চার্য থাকবে। ফোনে কমপক্ষে ৫০-৯০% চার্য রাখা উচিত এবং এই ৫০% এর কম চার্জ হলেই আপনার ফোনটি চার্যে বসানোর জন্য উপযুক্ত সময়।
  2. নূন্যতম কম % চার্য রাখা উচিতঃ ফোনের চার্য কখনোই ২০% এর নিচে নামতে দেওয়া উচিত না।কারণ যখন ব্যাটারিতে ২০% ও কম চার্য থাকে তখন ব্যাটিরি ক্রিটিকাল মুডে থাকা অবস্থায় ফোনে ভোল্টেজ সরবরাহ করতে থাকে, এতে করে ব্যাটারি আস্তে আস্তে তার কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে। এছাড়াও ২০% এর কম চার্য থাকাকালে যদি ফোনে random এ্যাপস গুলো চালাতেই থাকেন তাহলে ব্যাটিরি কর্মক্ষমতা অনেক দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে।

   তাই যদি কোনো কারণে ব্যাটারির চার্য ২০% থেকে কমে যায় তাহলে উচিত হবে ফোনকে "Ultra battery saving mode" এ চালানো ;যেখানে শুধু কল করা এবং এসএমএস করা যায়। 

    3.সর্বোচ্চ কত% চার্য দেওয়া উচিত? ঃ এ বিষয়টা একটু জটিল,কেউ সাজেষ্ট করেন  ১০০% আবার কেউ করেন  ৯০/৯৫%। এর পিছনেও যুক্তি আছে।

আপনি ফোন চার্য কারার সময় একটু খেয়াল করলেই দেখবেন যে শেষের ৩০% চার্য হতে তুলনামূলক ভাবে বেশি সময় লাগে, আরো খেয়াল করলে দেখবেন, যে সব ফোনে বিল্ট-ইন ফাস্ট চার্যিং সুবিধা থাকে, ঐসব ফোনের চার্যিং স্পেসিফিকেশনে লেখা থাকে ১%-৫০%  চার্য হতে সময় লাগবে ৩৫/৪০/৪৫ মিনিট আর বাকি ৫১%-১০০% হতে সময় লাগবে ৪৫/৬০/৬৫ মিনিট,একথার মানে একটাই যে,শেষের দিকে ব্যাটারি চার্য দ্রুত রিসিভ করতে পারে না।

ব্যাটারি হেল্থ


এছাড়াও যদি কিছু থার্ডপার্টি  ব্যাটারি অ্যাপ ব্যবহার করেন থাকেন, এবং ব্যাটারি লাইফ অপশন থেকে ব্যাটরির বর্তমান লাইফ দেখেন,দেখবেন ব্যাটরি লাইফ সম্পর্ণ ১০০% নেই। ধরুণ ব্যাটারির লাইফ ৯৭%, এমতাবস্থায় আপনার ব্যাটরি ১০০% চার্য নিতে অনেক সময় নিবে, তবে ৯৭% পর্যন্ত চার্য করাতে পারবেন দ্রুত।

   4. চার্যে বসিয়ে ফোন ব্যবাহার করা যাবে কিনা?

  মোবাইল ফোন চার্যরত অবস্থায় একদমই ব্যবহার করা যাবে না। একদমই না । কারণ এমে ব্যাটারীর মারাত্নক  ক্ষতি হয় প্ল্যাস ফোন অতিরিক্ত গরম হয়।

    5.প্রত্যেকটি স্মার্টফোনেই অনেক অপ্রয়োজনই অ্যাপ খুঁজলে পাওয়া যাবে,কারণ আমরা কারণে অকারণে অনেক সময়ই অনেক অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ফোনে ইনস্টল করি কিন্তু পরে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ রিমুভ করতে ভূলে যাই; কিন্তু এমন অনেক অ্যাপ আছে আপনার ফোনে যেগুলো ব্যাকরাউন্ডে ব্যাটারি কন্জিউম করে।

তাই উচিত হবে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ রিমুভ করার সাথে সাথে ব্যাটারি অপটিমাইজেশন অ্যাপ ব্যবহার করে, ব্যাকরাউন্ড অ্যাপ ইউজ বন্ধ করা যাতে করে কোনো অ্যাপ নিজে থেকেই ব্যাটারি কন্জিউম করতে না পারে।

   এছাড়াও  ফ্রিতে নেক ভাল mobile battery optimization apps রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করে আপনি background এ অটোমেটিক রান হওয়া অ্যাপ গুলো নিয়ন্ত্রন করে, ব্যাকরাউন্ড ব্যাটারী কন্জিউম অনেকটাই  হ্রাস করতে পারবেন।

Next Post Previous Post
2 Comments
  • MAL
    MAL 8 May 2022 at 22:16

    Druto charjopat korar kono upay bolle upokrito hotam

    • BLOGGER
      BLOGGER 5 June 2022 at 15:31

      Apnar prosnota ami bujini. kindky amar bolben ki?

Add Comment
comment url